আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ (কক্সবাজার) :
বাংলাদেশে পালিয়ে এসে মিয়ানমারের জাতীয়তা হিসেবে পরিচয় পত্র হাতে পেয়ে মহা খুশিতে রোহিঙ্গারা। বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের এসব পরিচয় পত্র দেওয়া হচ্ছে। তবে পরিচয় পত্রে জাতি হিসেবে ‘রোহিঙ্গা’ না থাকায় অনেকের চোখে মুখে বিষন্নতাভাব দেখা গেছে।
২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সহিংসতার পর পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পাঁচ থেকে উর্ধ্বে বয়সীদের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, কত তারিখে এসেছে, মিয়ানমারে তাদের বাড়ির ঠিকানা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে লেমোনেটিং করে পরিচয়পত্র প্রদান করা হচ্ছে।
পরিচয় পত্র পাওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা তরুন-তরুনীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, মিয়ানমারে না হোক, এদেশে এসে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে পরিচয় পত্র পেয়ে বেশ খুশি। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা মেনে নিলে শিগগিরই দেশে ফিরতে চাই তারা।
৯ থেকে ১১ বছর বয়সী বেবী আসমা, মায়মুনা ও সাদিয়া বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হয়ে পরিচয় পত্র হাতে পেয়ে গলায় ঝুলিয়ে বুথ থেকে বের হয়ে আসার সময় কথা হয় তাদের সাথে। তারাও মিয়ানমারের জাতীয়তা হিসেবে নিবন্ধন হতে পেরে উৎফুল্ল। তাদের মধ্যে বেবী আসমা এপ্রতিবেদকের দিকে কার্ডটি তুলে ধরে জানতে চাই পরিচয় পত্রে জাতীয়তা কি লেখা আছে। কার্ডটি দেখে তাকে জাতীয়তা ‘মিয়ানমার’ বললে ফের প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় বেবী আসমা। ‘রোহিঙ্গা’ লেখা নেই? না বললে তখন তার চোখে মুখে বিষন্নতা দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ দিনে টেকনাফ ও উখিয়ার ৩টি কেন্দ্রে ৩২ হাজার ২৫৩ জন রোহিঙ্গার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
পাঠকের মতামত: